শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

আপডেট
তৃতীয় স্ত্রীর অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক কারাগারে

তৃতীয় স্ত্রীর অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক কারাগারে

হারিচ আহম্মেদ: ময়মনসিংহের নান্দাইলে তৃতীয় স্ত্রীর করা অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় বাকচান্দা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আই সি টি প্রভাষক মোঃ সাইদুল ইসলাম সাইদকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মোঃ সাইদুল ইসলাম সাইদ নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে।
ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ সাইদুল ইসলাম সাইদের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করার আদেশ দেন আদালত। এর আগে সাইদুল ইসলাম সাইদ অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় বাদীর সঙ্গে আপস শর্তে আদালতের অনুকম্পায় জামিন লাভ করেন। দীর্ঘদিনেও বাদীর সঙ্গে আপস না করায় রবিবার ধার্য তারিখে মামলাটি কার্য তালিকায় এলে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।প্রসঙ্গত, মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ সাইদুল ইসলাম সাইদ তার শ্বশুর মোঃ আফতাব উদ্দিনের কাছ থেকে ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ৩,৫৯,৪০০ টাকা গ্রহণ করেন। এরপর দীর্ঘদিনেও পাওনা টাকা না দেওয়ায় বাদী নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসা সোপার কে  বিষয়টি জানান। এরপরও কোনো ফয়সালা না পাওয়ায় ২০২৩ সালের ১৯  জুলাই নান্দাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বাদী।
তৃতীয় স্ত্রী তামান্নায়ে ফেরদৌস কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে সাইদ। শ্বশুর-শাশুরিসহ বাড়ির লোকজন নিরব থাকায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয় ওই গৃহবধুকে।  চিকিৎসা করে বাবার বাড়িতে নিয়ে যা তার বড় ভাই মোঃ জুনাঈদ। সুস্থ হয়ে তামান্নায়ে ফেরদৌস অভিযোগ করেন,ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে। স্হানীয় ভাবে মিমাংসা হলেও কিছু দিন পর থেকেই ঘর করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা আনতে বলেন  বাবার কাছ থেকে পরে বাবা আমার সুখের কথা চিন্তা করে স্টেম্প করে ৩,৫৯৪০০ টাকা দেয় সাইদ কে। নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম সাইদ এর সাথে ৮ বছর আগে আমার বিয়ে হয়। আমি সাইদুল ইসলাম সাইদের তৃতীয় স্ত্রী।  প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগ ও সাইদুল ইসলাম সাইদের দিকে। সাইদ স্থানীয় বাকচান্দা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। আমাদের ঘরে দুটি ছেলে/মেয়ে সন্তান রয়েছে। দুটি সন্তান রেখেই আমাদের ডিভোর্স হয়ে যা। সাইদের মাদ্রাসার এক ছাত্রীর সাথে সম্পর্কের বিষয়ে আমি জানার পর থেকেই নির্যাতন আরো বেশি করে। এই বিষয়ে বাকচান্দা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও পাওয়া যায়নি। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য এস আই (নিঃ) আব্দুল কাদের কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পায় পুলিশ।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |